Sunday, August 16, 2009

আসিতেছে, চলিতেছে, পরবর্তী আকর্ষণ

আসিতেছে
দি নিউ কুয়াশা সার্কাস!
একটার পর একটা কেরা দেখতে হবে-
রোমান্টিক খেলা, হতবাক খেলা, ত্রিফলা, ত্রিফলা ছোরার নিচে শুয়ে-পড়া
মারাত্মক খেলা... হাই জোকার! হ্যালো রিংমাস্টার!!

বন্দি বাঘও খাঁচা থেকে বেরিয়ে ওস্তাদের চোখে চোখ রেখে খেলা দেখাবে
যদিও, সার্কাসে শিক্ষানবিশ বাঘের দুচোখে তখনও
ঘনজঙ্গলের স্মৃতি, বাঘিনীর জন্যে মায়া, প্রেম, পুনশ্চ শিকারের গুপ্ত সংকেত
খুব লক্ষ্য করে দেখলে, তোমার চোখেও ধরা পড়বে

চলিতেছে
আফটার দ্য রেইন!
কিন্তু সিনেমার শুরু থেকেই বৃষ্টি আর বৃষ্টি... শুধু বৃষ্টি?
এরকম কারেক্টারলেস বৃষ্টি কখনো আগে দেখা যায়নি;
যেহেতু রিয়েল রেইন, শট টু শট থার্টি ফাইভ ফ্রেমের বাইরেও
না-জানি কত প্রকার বৃষ্টি কত ভাবে ঝরিতেছে?
আনন্দ বেদনার বৃষ্টি, অত্যন্ত আবেগের বৃষ্টি, শুধু শুধু বৃষ্টি!
যাই হোক, আফটার দ্য রেইন কিভাবে দ্য এন্ড হবে
অনুমানেও কিছু বুঝতে পারছি না, কারণ
এই বৃষ্টি ক্যারেক্টারলেস বৃষ্টি, মনে হচ্ছে
এই বৃষ্টি আজীবন, কোনো তরুণের পক্ষেই থামানো সম্ভব হবে না
এই বৃষ্টি বুকের মধ্যে

পরবর্তী আকর্ষণ
নাটক!
অবশ্যই মঞ্চ খুব ছোট, কিন্তু এই ছোট মঞ্চের ওপরে বিদ্যুৎ বাল্বের
নিচে দাঁড়িয়ে
আমাকে বলতে হবে দীর্ঘ সংলাপ;
‘ওহ! কী বিস্তীর্ণ এই প্রায় মরে যাওয়া নদীবক্ষে শুধু বালি আর বালি
মাথার ওপরে একাদশীর চাঁদ
আমি এই চরাচরে পদচিহ্ন রেখে যাচ্ছি মিস দুষ্টু মেঘ উনিশের রজঃস্বলা মেঘ
একমাত্র তুমিই নষ্ট করতে পারো মিথ্যে মিথ্যে জোছনায়
জীবনব্যাপৃত এই বালিশিল্পকলা
কি, পারো না? বলো, বলো, বলো...

No comments:

Post a Comment