শুধু বসন্তেই কোনও কোনও নিঃশ্বাস কবিতা হয়ে যায়।
সেই কবিতা মেঘাচ্ছন্ন লিটল ম্যাগাজিন থেকে বেরিয়ে আসমানী গ্রন্থ হবার পথে, কিছুকাল শাহবাগের আকাশ থেকে অন্যান্য আকাশের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে বাতাসে মিলিয়ে যায়। এই মিলিয়ে যাওয়া কবিতাগুলোই নিঃশ্বাসে রচিত কবিতা।
কোনও কোনও কবিতা কখনো ছাপা হয় না। সেগুলোও নিঃশ্বাসের সন্তান। হয়তো নিঃশ্বাসগুলো নিভৃতচারী, প্রেমে একপাক্ষিক, মিহিপন্থী... মুখোমুখি তাকে ধরা যায় না। আবিষ্কার করতে হয়। ছাপা না হওয়া এমন কিছু নিঃশ্বাস, এমন কিছু কবিতা আমারও আছে। কল্যাণী-কেই কান পাতলে, শোনাতে পারি। সেটা অঁলিয়স ফ্রাঁসেজে বসে শোনানো যাবে না, মুগ্ধতা ছড়ানো ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়লেই মিহিনিঃশ্বাসের কবিতাগুলো শোনাতে পারব। শোনাতেও চাই।
আমি জানি, আমার নাক-মুখ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া কবিতাগুলো আলটিমেটলি কী চায়? চায় কি কেবল কি তরুণী কারও কানের কাছে নির্বাক, গ্রীষ্মপ্রধান আত্মপ্রকাশ? নাকি যন্ত্রস্থ না হওয়ার যন্ত্রণায়, এসব কবিতা প্রেমিকাকে মনে করে লিটল ম্যাগাজিন, বইকেই ভাবে বউ। যেন, যে-কেউ একজন সাড়া দিলেই সে শাদাপৃষ্টায় ঢুকে পড়তে পারবে। সঙ্গমতৃপ্ত সফল ঘুম দিতে পারবে।
এরকম মিহিনিঃশ্বাসের কবিতাকে মুখোমুখি বসে ধরা যায় না। আবিষ্কার করতে হয়। আবিষ্কার করতে কান লাগে, নির্ভুল জোছনাপীড়িত চরাচরে উৎকর্ণ কান। তাতে, মিহিনিঃশ্বাসের জন্মান্তর হয়। মুদ্রণের আকাঙ্ক্ষা জাগে। কারণ, গরম নিঃশ্বাসই কামশিল্পের বিজ্ঞাপন, লিপডিশ, যৌনবর্ধক।
এখন, এই মুহূর্তেও আমার নাক-মুখ দিয়ে মিহিনিঃশ্বাস বেরিয়ে যাচ্ছে। না-ছাপা কবিতা বেরিয়ে যাচ্ছে। এই কবিতা শুনতে চাইলে অঁলিয়াস ফ্রাসেজে বসে না, ঘরে গিয়ে তোমাকে আবহাওয়া তৈরি করতে হবে।
তাছাড়া বসন্ত-নিঃশ্বাসে রচিত কবিতা চৈত্রসংক্রান্তির পর তো আর শোনাতে পারব না। ততদিনে কবিতা আত্মগোপনে চলে যাবে, বাতাসে মিলিয়ে যাবে। জানি তো ঝড়ের সম্ভাবনা বাড়লে, বাতাস নিজেও পালিয়ে যাবে। এবং আমার হারানো কবিতার সংখ্যা বাড়বে।
তাহলে, এই বসন্তে আমার নিঃশ্বাসে কয়টা কবিতা ছাপা হল? আর কতগুলো ছাপা হলো না, মিহিপন্থী বলে? ছাপা না-হওয়া কবিতাগুলো কিভাবে শোনাব, ঘরে না-গেলে, কান না-পাতলে? বাঙলা কবিতার জন্যে আপুমণিদের কি বিন্দুমাত্র দয়ামায়া নেই?
সেই কবিতা মেঘাচ্ছন্ন লিটল ম্যাগাজিন থেকে বেরিয়ে আসমানী গ্রন্থ হবার পথে, কিছুকাল শাহবাগের আকাশ থেকে অন্যান্য আকাশের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে বাতাসে মিলিয়ে যায়। এই মিলিয়ে যাওয়া কবিতাগুলোই নিঃশ্বাসে রচিত কবিতা।
কোনও কোনও কবিতা কখনো ছাপা হয় না। সেগুলোও নিঃশ্বাসের সন্তান। হয়তো নিঃশ্বাসগুলো নিভৃতচারী, প্রেমে একপাক্ষিক, মিহিপন্থী... মুখোমুখি তাকে ধরা যায় না। আবিষ্কার করতে হয়। ছাপা না হওয়া এমন কিছু নিঃশ্বাস, এমন কিছু কবিতা আমারও আছে। কল্যাণী-কেই কান পাতলে, শোনাতে পারি। সেটা অঁলিয়স ফ্রাঁসেজে বসে শোনানো যাবে না, মুগ্ধতা ছড়ানো ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়লেই মিহিনিঃশ্বাসের কবিতাগুলো শোনাতে পারব। শোনাতেও চাই।
আমি জানি, আমার নাক-মুখ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া কবিতাগুলো আলটিমেটলি কী চায়? চায় কি কেবল কি তরুণী কারও কানের কাছে নির্বাক, গ্রীষ্মপ্রধান আত্মপ্রকাশ? নাকি যন্ত্রস্থ না হওয়ার যন্ত্রণায়, এসব কবিতা প্রেমিকাকে মনে করে লিটল ম্যাগাজিন, বইকেই ভাবে বউ। যেন, যে-কেউ একজন সাড়া দিলেই সে শাদাপৃষ্টায় ঢুকে পড়তে পারবে। সঙ্গমতৃপ্ত সফল ঘুম দিতে পারবে।
এরকম মিহিনিঃশ্বাসের কবিতাকে মুখোমুখি বসে ধরা যায় না। আবিষ্কার করতে হয়। আবিষ্কার করতে কান লাগে, নির্ভুল জোছনাপীড়িত চরাচরে উৎকর্ণ কান। তাতে, মিহিনিঃশ্বাসের জন্মান্তর হয়। মুদ্রণের আকাঙ্ক্ষা জাগে। কারণ, গরম নিঃশ্বাসই কামশিল্পের বিজ্ঞাপন, লিপডিশ, যৌনবর্ধক।
এখন, এই মুহূর্তেও আমার নাক-মুখ দিয়ে মিহিনিঃশ্বাস বেরিয়ে যাচ্ছে। না-ছাপা কবিতা বেরিয়ে যাচ্ছে। এই কবিতা শুনতে চাইলে অঁলিয়াস ফ্রাসেজে বসে না, ঘরে গিয়ে তোমাকে আবহাওয়া তৈরি করতে হবে।
তাছাড়া বসন্ত-নিঃশ্বাসে রচিত কবিতা চৈত্রসংক্রান্তির পর তো আর শোনাতে পারব না। ততদিনে কবিতা আত্মগোপনে চলে যাবে, বাতাসে মিলিয়ে যাবে। জানি তো ঝড়ের সম্ভাবনা বাড়লে, বাতাস নিজেও পালিয়ে যাবে। এবং আমার হারানো কবিতার সংখ্যা বাড়বে।
তাহলে, এই বসন্তে আমার নিঃশ্বাসে কয়টা কবিতা ছাপা হল? আর কতগুলো ছাপা হলো না, মিহিপন্থী বলে? ছাপা না-হওয়া কবিতাগুলো কিভাবে শোনাব, ঘরে না-গেলে, কান না-পাতলে? বাঙলা কবিতার জন্যে আপুমণিদের কি বিন্দুমাত্র দয়ামায়া নেই?
No comments:
Post a Comment