Saturday, August 15, 2009

বর্ষায় পুলিশশ্রেণী

বৃষ্টিতে ভেজার আগেই, পুলিশ ধরেছে, এই বর্ষায়

‘নীলক্ষেত’ এই সংকেতময়-বিভোরতা থেকে এদিকে ফিরছিলাম।
‘কাঁটাবন’ বেশ কথাবন হয়ে ওঠে- ভাবছিলাম
মাছবন্দি অ্যাকুরিয়াম, পাখিবন্দি খাঁচা, বিদেশি কুকুরের বাচ্চা, ফুলগুচ্ছ
আর ‘বৃষ্টি হবে হবে’ ভাবে আমি তোমাকেও ভাবছিলাম, তখনই

পুলিশ! পুলিশ আমাকে চেক করে, সন্ধান করে দ্যাখে-
আমার মধ্যে আমি অবৈধ কি কি পকেটে নিয়েছি?
সুযোগে পুলিশ আমার পাছায় ও শিশ্নে হাত দেয়, একসময়
বৃষ্টি নামার আগেই, বেশকিছু বাক্য খরচপূর্বক, পুলিশ হইতে পরিত্রাণ পাই
আমি দ্রুত উৎকণ্ঠিত, নিকটের সেলুনঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ি,
আমার আর বৃষ্টিতে ভেজা হয় না...
যদিও বরষা যায়, ঝরো ঝরো হায়
শুকনো পাঠক কভু ভেজে না কবিতায়

আয়নায় আমি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে চেপে যাই
পুলিশ আমার চোখ দেখে তো কাঁচকলাও টের পায়নি;
আইনসম্মত নয় এমন কত কী আমি পথে পথে, জানালায়
দেখে এলাম।
আমার চোখের মধ্যে যে অসীম... বাস করছে সে তো
এই রাস্ট্র-ধারণার উপরে হাগে প্রতিদিন।
সে তো আজও তোমাকে চায়, অথচ তুমি
তোমাদের ভাষায় কখনও বৈধ কি?
অবশ্য আমার সামনে দাঁড়ালে, তুমি দেখতে পেতে সেই ডানা, সেই পাখি
কিন্তু পুলিশ দ্যাখেনি, পুলিশ তো কোনওদিন পাখি ওড়াও দ্যাখেনি

আহারে, এবার বৃষ্টিতে ভিজব, ইচ্ছা ছিল।
আমি বৃষ্টিতে ভিজতে পারিনি, নির্বিঘ্নে আমি তোমাকে ভাবতে পারিনি
পুলিশ ধরেছে বলে
যদিও বরষা যায়, হায় কলা-কৌশলে
আমাকে বৃষ্টিবঞ্চিত, খা খা রাখা হল, পুলিশ-অ্যাক্ট সিস্টেমে

আমাদের পুলিশ পাখি দ্যাখে না, বৃষ্টি বোঝে না, পড়ে না কখনও প্রেমে!

No comments:

Post a Comment