জুলেখা বাদশার মেয়ে। তাহার ভারি অহংকার...
গল্পের, এইটুকু মনে পড়ে। এরপর, গ্রামাচ্ছন্ন সাধারণ ছোটবেলা ছেড়ে, দিগন্ত প্রদেশে আঁকা এক শরণার্থী শিবিরের পথে বেরিয়ে পড়েছি! আচম্বিতে গোলাগুলির শব্দ আর আকাশ থেকে বোমা পড়ার আর্তনাদ শুনে, বুঝেছি- ধারেকাছে কোথাও যুদ্ধ হচ্ছে! হঠাৎ থামতে হল, আরেক পা সামনেই কি পুঁতে রাখা ভূমিমাইন? অতিসন্তর্পণে, শরণার্থী শিবিরের দিকে হাঁটতে হাঁটতে আমি হেঁটেই চলেছি...
পথে, যত দিনান্তের প্রস্থানপ্রিয় সূর্যাস্তের রক্তিম প্লাকার্ডে জ্বলে ওঠে পশ্চিমের ট্রাফিক সিগন্যাল, যদিও গোপনে সব সময় আইন অমান্য করেই স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যায়। কিন্তু সন্ধ্যার কুয়াশামালা মারাত্মক বিভ্রকারিণী, সঙ্গে প্রতিবেশিদের মতো অন্ধকার; কোথাও বসলেই অন্ধকারকে মনে হয় বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মিলনায়তন! যেন, এক্ষুণি শুরু হবে শীতের দেশের অনূদিত এক ব্যালেপ্রধান নাটক, এই নাটকের উজ্জ্বল বৈশিষ্ট্য মঞ্চ থাকে মাথার উপরে, যেখানে আকাশ... নক্ষত্রের চরিত্রে নক্ষত্রেরাই পারফর্ম করে কিন্তু চাঁদের চরিত্রে জেগে থাকে দূরে দেখে চেনা-চেনা-প্রিয় যদিও তেমন কথা না-হওয়া এমন একটি মেয়ে, আর এই নৈঃশব্দপীড়িত দৃশ্যের নিচে আমিই একচ্ছত্র অডিয়েন্স! মুগ্ধতায় আকুল দর্শক। মিডিয়া জানে না- শিল্পকলায় প্রতিভাবান নেশাদগ্ধ তরুণ... কিন্তু আমি জানি, অন্ধকারের শীতরাত্রি আমারই উদ্দেশ্যে রচিত...
তাহলে, চাঁদের চরিত্রে রূপদান করছে কে? কুয়াশা? কুয়াশাও চৌধুরীল মেয়ে! তাহার ভারি অহংকার। তবে সেই অহংকারটুকুই আমার প্রতিবেশী... অন্ধকার। অন্ধকারে তো চোখে বিষম দায়, so মনে মনে একটাই প্রকল্পনা: কখন পৌঁছুব দিগন্ত প্রদেশে আঁকা স্বপ্ন-বন্য-সমাচ্ছন্ন শরণার্থী শিবিরে?
গল্পের, এইটুকু মনে পড়ে। এরপর, গ্রামাচ্ছন্ন সাধারণ ছোটবেলা ছেড়ে, দিগন্ত প্রদেশে আঁকা এক শরণার্থী শিবিরের পথে বেরিয়ে পড়েছি! আচম্বিতে গোলাগুলির শব্দ আর আকাশ থেকে বোমা পড়ার আর্তনাদ শুনে, বুঝেছি- ধারেকাছে কোথাও যুদ্ধ হচ্ছে! হঠাৎ থামতে হল, আরেক পা সামনেই কি পুঁতে রাখা ভূমিমাইন? অতিসন্তর্পণে, শরণার্থী শিবিরের দিকে হাঁটতে হাঁটতে আমি হেঁটেই চলেছি...
পথে, যত দিনান্তের প্রস্থানপ্রিয় সূর্যাস্তের রক্তিম প্লাকার্ডে জ্বলে ওঠে পশ্চিমের ট্রাফিক সিগন্যাল, যদিও গোপনে সব সময় আইন অমান্য করেই স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যায়। কিন্তু সন্ধ্যার কুয়াশামালা মারাত্মক বিভ্রকারিণী, সঙ্গে প্রতিবেশিদের মতো অন্ধকার; কোথাও বসলেই অন্ধকারকে মনে হয় বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মিলনায়তন! যেন, এক্ষুণি শুরু হবে শীতের দেশের অনূদিত এক ব্যালেপ্রধান নাটক, এই নাটকের উজ্জ্বল বৈশিষ্ট্য মঞ্চ থাকে মাথার উপরে, যেখানে আকাশ... নক্ষত্রের চরিত্রে নক্ষত্রেরাই পারফর্ম করে কিন্তু চাঁদের চরিত্রে জেগে থাকে দূরে দেখে চেনা-চেনা-প্রিয় যদিও তেমন কথা না-হওয়া এমন একটি মেয়ে, আর এই নৈঃশব্দপীড়িত দৃশ্যের নিচে আমিই একচ্ছত্র অডিয়েন্স! মুগ্ধতায় আকুল দর্শক। মিডিয়া জানে না- শিল্পকলায় প্রতিভাবান নেশাদগ্ধ তরুণ... কিন্তু আমি জানি, অন্ধকারের শীতরাত্রি আমারই উদ্দেশ্যে রচিত...
তাহলে, চাঁদের চরিত্রে রূপদান করছে কে? কুয়াশা? কুয়াশাও চৌধুরীল মেয়ে! তাহার ভারি অহংকার। তবে সেই অহংকারটুকুই আমার প্রতিবেশী... অন্ধকার। অন্ধকারে তো চোখে বিষম দায়, so মনে মনে একটাই প্রকল্পনা: কখন পৌঁছুব দিগন্ত প্রদেশে আঁকা স্বপ্ন-বন্য-সমাচ্ছন্ন শরণার্থী শিবিরে?
No comments:
Post a Comment