Friday, August 7, 2009

রাধাকৃষ্ণের ধাঁধা

রাধা কি বাঙালি ছিল? গীতকাব্যে আমরা এমনই একটা ঝোঁক
একটা আবছায়া বরাবর পাই যে, রাধা নিশ্চিত বাঙালি নারী
ফলে কৃষ্ণও দেখতে শুনতে ভালো কিন্তু কালো কোনো বাঙালি যুবক
রাধা দেখতে দেবীর মতো- যদিও সে স্বামী ছেড়ে সন্ধ্যায়
অন্যভাতারি

রাধা বাঁশি শুনে ‘ঘরে আর না রহিতে পারি’ অবস্থায়
যমুনা গোকুলে বৃন্দাবনে কৃষ্ণের সঙ্গে কোলাকুলি করিত, প্রেমে
ঝোলাঝুলিও করিত, দুষ্টুমিতে চুলাচুলি করিত, মান যায় যায়
অভিমান শেষপর্যন্ত এমনভাবে জাপটে ধরে যে, সারা শরীর
কখন সমুদ্র, ঘেমে;
তার মানে রাধা কিছুটা নারীবাদীও ছিল, নইলে অবতার
কৃষ্ণকেও ফাঁকি দিয়ে, যথা সঙ্গহীন রাতে তাকে স্বমেহন করিতেছে!
যেমন আমরা করছি, আমরা বলতে এখনকার যারা তরুণ, তাতার
আর রাধারা তো রাত নটার পরেই হলে হলে মুরগি হয়ে গেছে
রাতে বিছানায় ডিম পাড়বে, যদিও সেই ডিমে বাচ্চা ফুটবে না
কেননা তা মোরগ কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত নহে, মোরগেরা কিছুদূরে
পাঁচিলের বাইরেই কককক করে যায়, মুরগি না পেলে সে বাঁচে না
তবু তাকে বাঁচতে হচ্ছে, হাতেই মোজার্ট ভাঁজতে হচ্ছে, দুপুরে
পার্কের ঘাসে ঘাসই খাবার, অপার আগুনে গূঢ় উপহার
কবিতা রাধার, কিন্তু আমরা বাঁশিঅলাকে, বাঁশি কেনার ছলে
রাস্তায় নিজেদের চোখেই দেখে নিয়েছি
আর তখনই কৃষ্ণ হবার সাধ ফুড়ুৎ হয়ে গেছে বাঁশিঅলাকে দেখেই;
অথচ ডাবগুলো নারকেল হয়ে যাচ্ছে, পেঁপেও যাচ্ছে পেকে

এখন দেখা যাচ্ছে গরুর রচনা... নদীপাড়ের ঘাস খেতে খেতে
নদীতে লাফিয়ে পড়ছে, নদী চলে যাচ্ছে বহুদূর, নাম না জানা
কোনো গ্রামের ভেতর, অচেনা এক ঘাটে
বসে কুলবধূ প্রবাসের পানে তাকিয়ে স্নান সেরে নিচ্ছে, এতে
দোষেরইবা কি, যেখানে মর্গের পাশে দিবালোকেও বেওয়ারিশ লাশ
কুকুর-শেয়াল চাটে;
লাশ বলতে তো ওই দেহই, যা একটু পচে গেলেই কেটে ফেলতে হয়
আহা সতেজ লাউয়ের ডগা... না লাউ? যাই হোক তাজা দেহের
সঠিক বিধি
মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েও যৌবনের বহু অপচয়
ও অপব্যবহারের ফলে মনে হয়, ইয়ের আয়তন কমে যাচ্ছে,
সংকুচিত হচ্ছে পরিধি
একদিকে খালি ধু-ধু আর অন্যদিকে ধিঁ ধিঁ, তবে কি রাধার অঙ্গে
কৃষ্ণ জ্বলে
কৃষ্ণের অঙ্গে রাধা?
ব্যক্তিজীবনটা কেমন যেন, যা কিছু লিখি: মনে করি তাই একটা
কবিতা
আরও মনে করি এক্স ওয়াই সেক্ক, ফান্টু ক্লাইমেক্স, কবিতা সমান
সমান
দুর্গম গিরি কান্তার মরু রাধাকৃষ্ণের ধাঁধা...

No comments:

Post a Comment