Tuesday, August 11, 2009

যুদ্ধবার্তা

আমার অনেক কবিতার মা এক আনবিলিবেবল সম্রাজ্ঞী। তিনি এক শহরে থাকেন কিন্তু আমার সঙ্গে থাকেন না। এতে আমার কিছুটা খারাপ লাগে, কারণ কবিতাগুলো হয়তো একা একা হয়ে যাচ্ছে, কবিতাগুলো হয়তো আস্তে আস্তে এতিমগোছের বাচ্চা হয়ে যাচ্ছে।

আর আমি, সীমান্তযুদ্ধে আহত হয়ে শুয়ে আছি শরণার্থী শিবিরের তাঁবুতে। কোন সীমান্তে যুদ্ধ আমার? কই, কোনো পত্রিকাই তো এই যুদ্ধের খবর ছাপল না। টিভি-সাংবাদিক তো ছুটে আসল না? যুদ্ধ কোথায়?

যুদ্ধ হচ্ছে। কোথাও না কোথাও যুদ্ধ হচ্ছে। আমি যে যুদ্ধ আহত এখন, এই যুদ্ধ কভার করার মতো জার্নালিজম-ডিসিপ্লিন এখনও তৈরি হয়নি। শেষমেশ আমিই দায়িত্ব পালন করি- আমার স্টোরিগুলোর ডাক নাম কবিতা। এই কবিতা সীমান্ত যুদ্ধের শব্দে শব্দে রচনা।

আর আমার যুদ্ধ সেই সম্রাজ্ঞীর বিরুদ্ধে, যুদ্ধে যার পরাজয় হলেও আমি ব্যথিত হব বলে এখনও চূড়ান্ত আক্রমণ করিনি। কিন্তু যুদ্ধ চলছে। মেঘ নিজে দূতিয়ালি করছে। আমার আর সম্রাজ্ঞীর মধ্যকার বার্তা মেঘ বয়ে নিয়ে যেতে যেতেই তা কবিতা হয়ে উঠছে। মেঘ আছে তো কবিতা আছে। সম্রাজ্ঞী কবিতার মা, যেভাবে, আমি কবিতার বাপ। কিন্তু বাপ-মার সঙ্গে না থাকলে কি বাচ্চা-কাচ্চারা ভালো থাকে? আমাদের কবিতারা ব্রোকেন ফ্যামিলির সন্তান। ঠিকমতো লেখাপড়া করে না, নেশা-টেশাও ধরতে পারে। হয়তো মনের কথা কাকে বলবে, ভেবে পায় না।

লোকে ভুল করে। আমাকে বলে কবি! আমি কেন কবি হতে যাব? আমি তো কবিতার বাপ। এক আনবিলিবেবল সম্রাজ্ঞী তার মা। আমাদের পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবার্তা চালাচালি করছে মেঘ।

আর কবিতা জন্ম হচ্ছে, নেশা-টেশা করে মরছে, পাঠ্যসূচিতে মন বসাচ্ছে না। যথার্থ অভিভাবক খুঁজে পাচ্ছে না বলে কবিতারা বাপ হবার মতো পাঠক খুঁজছে, হয়তো মা হবার পাঠিকা খুঁজছে।

গার্লফ্রেন্ড খুঁজছে না?

No comments:

Post a Comment