Saturday, August 15, 2009

বলাকা সিনেমা হল

মহাকালের মাত্র দেড় দুই ঘণ্টা সম্পূর্ণ রঙিন-
এই সত্য দেখেছি বলাকা সিনেমা হলে বসে, আমরা দুজন।
ইভেনিং শো’র আগে-পরের ইতিহাস ধুধু-শাদাকালো ফুটেজে
পূর্ণদৈর্ঘ্য বাঙালি জীবন!
একুশ শতকের হাওয়ার মধ্যেও এসে পৌঁছুল হুহু!
ভাটিয়ালিভরা রাখালি জীবন!

এই মধ্যেও শিখে ফেলি বনময়ূরের নাচ, বুনোফুলের গান
আয়নার সামনে রূপ-ম্যাটাডোর, নিশ্চিত বিয়োগান্তক লড়াই
এই বুঝি আমাদের অভিনীত প্রেম?
পাণ্ডুলিপি যথেষ্ট ধূসর কিন্তু সংলাপ এখনো জীবন্ত-
এটাই বঙ্গের ক্লাসিক্যাল প্রবলেম...

আর সেই ইভিনিং শো’র পরে
আমরাও আর পর্দায় নেই, সেই সুযোগে
কত নব নব ছবি, নতুন নতুন জুটি শুভমুক্তি পাচ্ছে, পাবেই তো।
শুনেছি, সাম্প্রতিক লাভ স্টোরিগুলো নাকি প্রথম সপ্তায়
মোটে তিনদিন চলে?
কী স্বপ্নাচ্ছন্ন, প্রসন্ন পাহাড়ি বৃষ্টি ও মেঘে, শো চলাকালীন
সম্পূর্ণ রঙিন দেড়-দুই ঘণ্টার অন্ধকারই চূড়ান্ত সত্য, পাশাপাশি
নিঃশ্বাসেরও একটা বিপ্লবী ভূমিকা অনস্বীকার্য
নৈঃশব্দে, পাখি আমার পাশে আমি পাখি দেখছিলাম
বলাকা সিনেমা হলে...

No comments:

Post a Comment