Sunday, August 16, 2009

ফুল-সম্ভবা কুঁড়ি ভেতর

খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাচ্ছি।
এই! গ্রামান্তের তালগাছ, শোনো-
একদিন, মাটি থেকে দাঁড়ানো মাথার উপরের
শূন্যতা ছুঁয়ে ফেলব-
এই ধরনের একটি ভাবনাই আমাকে অখণ্ড করে রেখেছিল
এই ধরনের একটা স্বপ্নই একদিন...

আজ ভাবনার সঙ্গে মিল না হবার দিন
শূন্যতা ঘুচে যাবার দিন
অনেক অনেক ছবি এঁকে শূন্যতা ভরে ফেলবার দিন
ছবির মধ্যে ইচ্ছেমতোন রং মাখবার দিন
আজ আর আমার অখণ্ডতা-অঙ্গিকার নেই।
তালগাছ তুমি কোথায়? ক্ষম: গো দিগন্তপ্রেতিনী
অনেকদিন হলো আকাশের নিচে দাঁড়ানো হয় না
টাইম নেই
বহুকাল পরে গতকাল মনে হলো, সন্ধ্যার বিয়ের পর
সেই রাতের আত্মরতিরই স্রেফ আত্মহত্যা থেকে
সেইফ করে দেয় আমাদের তিন বন্ধুকে- দুইজন পরে
রিহাবে গেছে

এরপর ভ্রমণকাহিনী- হারাগাছ থেকে হাভানা,
তামাক ভূমির আগুন
এরপর আমরা যে যার মতো... যে যার গুপ্ত-প্রকাশ্য অধিবাসে
ফলে, ছিন্নতার সূত্রেই ছিটকে পড়েছি মানচিত্র ছিঁড়ে
শূন্যতা বিভিন্ন রকম, মাথার উপরেও বিভিন্ন আকাশ...

যেটুকু অবশিষ্ট আমি, এখনো চোরাচোখে
মহিলা কলেজের দিকে, চলন্ত রিকশায়... এখানে ওখানে
কিংবা লিপিস্টিকের দোকানের সামনে দেখে যাচ্ছিলাম
মধুর উৎস! মধুবন্তী ছন্দে ফোট পুষ্প দি... ফুল আপুদের
মেঘ হলো, না বৃষ্টি হলো, হঠাৎ
এক কুঁড়ি, সতেরো পেরোইনি
সামান্য বাতাসেও সে এমন কম্পন তুলেছে ছবি এঁকে
শূন্যতা ঘোচানো শিল্পের শহরে
তাতে, ধাক্কা লাগছে দেহে;
দেহ তো একটা মনুমেন্ট, পরাক্রমী, মেঘ পর্যন্ত উঁচূ হতে গিয়ে
পাল্টা ধাক্কার চেতনায়, লোভে
ভেঙে-চুরে, খণ্ড-বিখণ্ড... দেহখানি
কত ছোট হয়ে ঢুকে যাচ্ছে, গলে পড়ছে আসন্ন ফুল-সম্ভবা
রেণু রেণু কুঁড়ির ভেতর...

No comments:

Post a Comment