বলেইছি তো, থাকব বলে
বাঁধছি হাওয়াঘর-
পতন ভালোবাসি বলে
তুমি পাতাটি বউ পাতা আর
আমি পাতা বর...
আমরা না-হয় উড়েই যাব
উঠলে ঘূর্ণিঝড়!
আমরা না-হয় পুড়েই যাব
সারাদুপুর খা খা
এও কি সম্ভব যে
বালির ওপর বনভূমির
স্বপ্ন, সবুজ আঁকা?
পাখি হতে তো পারব না, তাই
পাতা হয়েই থাকা...
বলেইছি তো, মরব বলে
ভালোবাসার বিষে-
আমরা দুটি পাতা যদি
পরষ্পরে মিশে
ভালো থাকি তো কি প্রবলেম
কী এসে যায় কার?
বাংলাদেশে এই প্রথম এক
পাতার সংসার...
খ.
ময়ূর বাগান এত বৃষ্টি, এই যে এত বৃষ্টি খাই বাঁচি।
বাসায় ফেরার পথে ফলো করে ডার্কনেস, আমি আছি
মন-মহাদেশে, যেখানে বৃষ্টি নেই, বন্ধুরাও জানে
ব্যাপক বৃষ্টিতে ভিজব বলে, দিনশেষে, সন্ধ্যায়, ময়ূরবাগানে
কেন আমি যাই আর কাচের পাত্রে ঢেলে বৃষ্টি ফোঁটা খাই?
আশরীর যে ভেজাব আমি, চলতি মেঘে তো বৃষ্টিকণাই নাই?
অথচ আমার চতুর্পার্শ্বেই মেঘ আমি মেঘের নিচে হাঁটি।
মেঘ আমাকে ফোন করে আর কথা বলে, করে কান্নাকাটি
মেঘের পাশে ঘুরি আমি অ্যাডাল্ট বলে মেঘের পাশে শুতেও
কিন্তু ইচ্ছা করে, ভাবনাগুলো কিচ্ছা করে বৃষ্টিহীন রাতের গলি
পেরিয়ে গিয়ে ঘরটা যখন খুঁজে পাই না, মেঘ তোমাকে বলি-
বঙ্গদেশে বৃষ্টি কেন নেই? বৃষ্টি ছাড়া তুমি একটা খুনি
কি আর করা, টলতে টলতে হাঁটি, নদীতীরের
জলহীনতার প্রমাণস্বরূপ চরের বালি, হঠাৎ দেখি তরমুজ ক্ষেত-
তার মানেই তো বৃষ্টি হচ্ছে, ভিজে যাচ্ছি, এই স্বপ্ন বুনি...
গ.
তুলারাশির জাতক, আমি বিষ নামাতে পারি
কিন্তু আগে জানতে হবে- বিষ শরীরের কোথায়?
হাত চালানেও আপত্তি নেই, যতই পরো শাড়ি
তুমি তো জানোই- কী পরিমাণ গভীর সমঝোতা
সাপের সঙ্গে, বিষের সঙ্গে করেই তবে ওঝা
হয়ে আমি এখন তোমার মুখোমুখি, সোজা
দাঁড়িয়ে আছ, আমি বসে, তোমার পায়ের পাতায়
হাত রেখেছি, বিষ নামাতে, বিষ উঠেছে বুকে...
তুলারাশির জাতক, আমি উড়ে বেড়াই, সুখে
ঘুরে বেড়াই... ঘুর ঘুর ঘুর... তা থই থই তা তা
কিন্তু অত ধ্রুপদে না, ওঝাই আমি ভালো
সাপকে আগেই বলে দিছলাম, চুমুতে বিষ ঢালো...
বিকজ আমার তুলারাশির হাত, বিষ নামানোর ডাকে
হাত, পা ধরে উঠছে এখন ক্রমশ মৌচাকে
কোথায় আবার মৌচাক-টাক, মধুভাবনা, কি সে?
ভালোবাসার মধু থাকে ভালোবাসার বিষে
একটা দুপুর, সারা বিকাল সন্ধ্যাটাকেও খুঁজছ ফিরে পেতে
প্লিজ! নাকছাবিটা হারিয়ে গেলে, ‘কল মি’ সংকেতে